Logo

আন্তর্জাতিক    >>   রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ

রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ

রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ

রাশিয়ার নতুন মাঝারি-পাল্লার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা ইউক্রেনে সংঘাতকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক এক সংবাদ সম্মেলনে এই হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলা সংঘাত আরও তীব্র করেছে এবং এটি একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ। দুজারিক বলেন, “এটি উদ্বেগজনক এবং ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উভয় পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছে।”

দুজারিক আরও বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং বেসামরিক স্থাপনা ও অবকাঠামোতে হামলা থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরি। জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বারবার শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে এসেছেন এবং এ সংকট নিরসনে কূটনৈতিক পদক্ষেপ জোরদারের ওপর জোর দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে রাশিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে আঘাত হানে। এতে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, এটি তাদের নতুন অস্ত্রের সফল পরীক্ষা।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন আরও বাড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহে তারা ইউক্রেনকে অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ডমাইন সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ যুদ্ধক্ষেত্রে আরও বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং বেসামরিক মানুষের জীবন আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।

জাতিসংঘ মুখপাত্র দুজারিকও অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ডমাইনের ব্যবহার সম্পর্কে জাতিসংঘের বিরোধিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং এটি সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত করবে।”

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা যুদ্ধ বন্ধে একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু নতুন অস্ত্রের ব্যবহার এবং হামলার বৃদ্ধি এই সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি শক্তিশালী ভূমিকা প্রয়োজন। সংঘাত বন্ধে সব পক্ষের অংশগ্রহণে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করাই হতে পারে সমাধানের পথ।